/হোটেল

হোটেল

রুম অন্ধকার

হোটেলের রুমে প্রবেশ করে রুম অন্ধকার রেখে দেখে নিন কোনো ফাঁক দিয়ে বাহির থেকে রুম দেখা যায় কিনা। দেখা গেলে রিসিপশনে জানিয়ে ব্যবস্থা নিন।

মূল্যবান জিনিস রুমে রাখবেন না

মূল্যবান জিনিসপত্র অনেকেই হোটেলরুমের গোপনীয় কোনো একটি জায়গায় রেখে দেন। এটি চরম ভুল। হোটেলরুম থেকে চুরি করতে যারা ওস্তাদ, তারা কিন্তু ওসব ‘গোপন’ জায়গার হদিস আপনার চেয়ে ভালো জানে! সুতরাং একটু পয়সা খরচ করে কর্তৃপক্ষের লকারে নিজের মূল্যবান জিনিস রাখুন। নিরাপদ থাকুন ।

‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সাইন

দরজা লাগিয়ে দিলেই কিন্তু হলো না। যতক্ষণ না ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সাইন বাইরে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন, ততক্ষণ যে কেউ এসে উটকোভাবে আপনার ব্যক্তিগত সময় যাপনে বাধ সাধতে পারে। আবার ঘর পরিষ্কারের চিন্তা থাকলে সেটি সরিয়ে ফেলুন। কারণ, ওই সাইন ঝোলানো থাকলে হোটেলের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঘরের আশপাশে ঘেঁষবে না।

বাথরুম

অবশ্যই বাথরুমের গেলে রুমের দরজা-জানালা বন্ধ রাখবেন। দৈনন্দিন ব্যবহারের টাওয়েল বদল করতে চাইলে নির্দেশনা অনুযায়ি বাথরুমের মেঝে বা বাথটাবে রাখুন।

রুম নম্বর বলবেন না

যেখানে সেখানে বা চেক-ইনের সময় হোটেলের রুম নম্বর নিজে উচ্চারণ করবেন না। দুষ্কৃতকারীরা এসব তথ্যের জন্য মুখিয়ে থাকে। এ বিষয়টি যতটা পারা যায় গোপন রাখুন। নতুন পরিচিত কাউকেই রুম নম্বর জানাতে যাবেন না।

চট করে দরজা খুলবেন না

দরজায় কড়া নাড়া হলো আর কিছু না বুঝেই বললেন, ‘কাম ইন।’ এই বিশাল ভুলটি কখনোই করতে যাবেন না। হোটেল কিন্তু দিন শেষে কখনোই তেমন নিরাপদ জায়গা নয়। সুতরাং পরিচয় জেনে দরজা খুলুন। মনে রাখবেন, অচেনা জায়গায় অচেনা কেউ আপনার সঙ্গে দেখা করার কথা নয়। কাজেই সাবধান। আর সবসময় দরজা লাগিয়ে রাখতে ভুলবেন না।

হোটেলের মিনিবারের পানীয়

কোমল কিংবা কঠিন, যেমন পানীয়ই খান না কেন, সেটি হোটেলের মিনিবার থেকে না খাওয়াই ভালো। হোটেলের মিনিবারগুলোতে পাঁচ টাকার খাবারের দাম অন্তত ৫০ টাকা রাখা হয়! শেষে দেখা যায় রুম ভাড়ার চেয়ে মিনিবারের বিলই গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ-তিন গুণ!

ছারপোকা/তেলাপোকা

যত বিলাসবহুল কক্ষ কিংবা সুসসজ্জিত বিছানা হোক, ছারপোকা ঠিকই জানে কীভাবে নিজের জায়গা করে নিতে হয়। কাজেই এ ব্যাপারে ভালোমতো তল্লাশি চালান, ছারপোকার সামান্য আনাগোনা দেখামাত্র সবকিছু ঠিকঠাক করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। ছারপোকা/তেলাপোকা কেবল আপনাকে কামড়াবে তা-ই শুধু নয়, সঙ্গে সওয়ার হয়ে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যাবে অবলীলায়।

কলের পানি খাবেন না

এক ব্রিটিশ দম্পতি লস অ্যাঞ্জেলেসে বেড়াতে এসে ট্যাপ বা কল থেকে পানি পান করেন। সেই পানিতে কেমন যেন বিচিত্র স্বাদ, এমন স্বাদের পানি নাকি তারা কখনোই খাননি। পরে অনুসন্ধানে জানা গেল, হোটেলের জলাধারে একটি মৃতদেহ! কার ভাগ্যে কী থাকে, তা তো আর বলা যায় না। সুতরাং ভুলেও কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য হোটেলরুমের কলের পানি খাবেন না। ভরসা রাখুন দোকান থেকে কেনা মিনারেল ওয়াটারের বোতলে।

রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহারে সতর্কতা

হোটেলটি সুলভ বা বিলাসবহুল যেমনই হোক না কেন, এতে জীবাণুর উপস্থিতির সম্ভাবনা ব্যাপক। সা¤প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা গেছে। আর এসব জীবাণুর একটি বড় অংশ থেকে যায় টেলিভিশনের রিমোট কন্ট্রোলে। ঘরদোর যতই ঝেড়ে পরিপাটি করা হোক, রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্রটি সেভাবে পরিষ্কার করা হয়না। ফলে জীবাণু বহাল তবিয়তে রয়ে যায়।

সামি আল মেহেদী