/ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ডায়মন্ডস

ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ডায়মন্ডস

ক্রুজশীপ বা প্রমোদতরীতে জলভ্রমণ পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। ক্রুজশীপ ট্রাভেল কয়েকদিনব্যাপি হতে পারে। এক দেশ থেকে আরেক দেশ-মহাদেশ ভ্রমণ খুবই জনপ্রিয়। ক্রুজশীপগুলোর ভেতরের সুবিধাদিকে শুধু বিলাসবহুল বললে কম বলা হয়। হেন কোনো জিনিষ নেই, বিনোদনের বিষয় নেই, যা পপুলার শীপগুলোতে অনুপস্থিত। প্রায় সবগুলো ফাইভস্টার ক্রুজশীপেই রয়েছে ডায়মন্ডের মতো দামী ফ্যাশন গুডস শপ। আমি আলাস্কা ক্রুজ নামে যে শীপে কাজ করতাম সেখানে একবার একজন অস্ট্রেলিয়ান মেয়ের সাথে পরিচয় হলো। বয়স ত্রিশের কোঠায়। সে ঐ বোর্ডের গেস্ট ছিলো। মাঝেমাঝেই তার সাথে দেখা হতো। সেটা ছিলো দশ দিনের ভ্রমণ। কাজের ফাঁকে হঠাৎ একদিন তাকে দেখে আমি বিষম খেলাম। মেয়েটি তার বন্ধুর সাথে কথা বলছিলো।

বন্ধু জিজ্ঞেস করলো, গতরাতে তুমি কি করেছে জানো? তুমি দামি ডায়মন্ডের রিং কিনেছো।

কী, কী বলছো..?

হ্যা। শীপের ডায়মন্ড সেলসম্যানের কাছ থেকে কিনেছো। কেনার সময় তুমি ড্রাংক ছিলো এবং অনেকক্ষণ ধরে দামাদামিও করেছো।

ন..ন..নন..নননা..অসম্ভব! 

বিশ্বাস না করলে তোমার পকেট চেক করে দেখো।

মেয়েটির পরনে ছিলো আগের রাতের জ্যাকেট, সে পকেটে হাত দিয়ে দেখলো সত্যিই একজোড়া দর্শণীয়, চোখ ধাধানো, ঝকঝকে হীরার কানের দুল। মেয়েটি চিৎকার করে উঠলো, ও মাই গড, আমার স্বামী আমাকে মেরেই ফেলবে। তারপর একটু থেমে জানতে চাইলো, আমি কি এটার একটা ভালো দাম পেতে পারি (যদি ফেরত দেই)?

গল্পের মোরাল: কিছু লাক্সারি ক্রুজশীপে প্রাইভেট ডায়মন্ড শোরুম থাকে, সেখানে যারা ডায়মন্ড দেখতে বা কিনতে যায় তাদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য চৌকষ সেলসম্যান থাকে এবং ক্লায়েন্টকে ফ্রি শ্যামপেন অফার করা হয়। অনেকেই শ্যামপেন খেয়ে মাতাল হয়ে মূল্যবান হীরা অনায়াসে কিনে ফেলে। পরে ঝামেলায় পড়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে মদ পান না করে নিরাপদ থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

জাহেরি সুকার্নো, বোর্ড ক্রু মেম্বার, আলাস্কা ক্রুজশীপ, নরওয়ে