/বিশ্বসেরা ১০ এয়ারপোর্ট 

বিশ্বসেরা ১০ এয়ারপোর্ট 

এয়ারপোর্ট আপডেটস

দি গাইড টু ¯িøপিং এয়ারপোর্ট প্রতিবছর বিশ্বব্যাপি এয়ারপোর্ট বিষয়ে ভ্রমণকারিদের সরাসরি  ভোটে উৎকৃষ্ট এবং নিকৃষ্ট এয়ারপোর্টের তালিকা তৈরি করে। ২০১৫ সালে ২৬,২৯৭ জন যাত্রীর প্রত্যক্ষ ভোটে পৃথিবী সেরা ১০ এবং বাজে ১০টি এয়ারপোর্টের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা।

মূলত চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে জরিপ কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়েছে। সেগুলো হলো- এয়ারপোর্ট কমফোর্ট, প্রসঙ্গিক সুবিধাদি, পরিচ্ছন্নতা এবং গ্রাহক সেবা। ট্রাভেল ম্যাগাজিন ভ্রমণ এর পাঠকদের জন্য বিশ্বের সেরা ১০ ও বাজে ১০ এয়ারপোর্টের পরিচিতি তুলে ধরা হলো এয়ারপোর্ট আপডেটসএ।

ক্রমানুসারে বিশ্বের সেরা ১০ এয়ারপোর্ট

১. চাঙ্গি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (সিঙ্গাপুর)

বরাবরের মতো চাঙ্গি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট আবারো পৃথিবী সেরা এয়ারপোর্টের মর্যাদা ধরে রেখেছে ¯িøপিং ইন এয়ারপোর্টস এর ২০১৫ সালের জরিপে। যেকোনো এয়ারপোর্টে একইসাথে ফিস স্পা, সনা, প্রজাপতি বাগান, শাওয়ার, কইপন্ড, বহুতল পথ ও ভবন, জিম এবং ফ্রি মুভি থিয়েটার পাওয়া সত্যিই কঠিন, যা চাঙ্গিতে রয়েছে। ভ্রমণকারীরা চাঙ্গিতে ফাইভ স্টার হোটেলের সুবিধাদি ভোগ করাকে উপভোগ করেন এবং ফিরে যাওয়ার সময় মন খারাপ করেন বলেও জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে।

২. ইনচিয়ন (ওহপযবড়হ) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোট (সিউল, সাউথ কোরিয়া)

জরিপের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইনচেয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। এখানকার মূল আকর্ষণ হচ্ছে কর্তৃপক্ষের দেয়া নানারকম ফ্রি সুযোগ সুবিধা। যেমন, ফ্রি শাওয়ার, অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন রিভর, এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো এখানকার আরামদায়ক বসবার ব্যবস্থা; যে কোনো বয়সি ভ্রমণকারীর জন্য এটি দারুণ স্বস্তিকর। 

৩. হানেডা (ঐধহবফধ) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (টকিও, জাপান)

হানেডা এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের দক্ষতা, সময়ানুবর্তিতা এবং অবশ্যই আধুনিকতা উল্লেখ করবার মতো। প্রচুর সুনামসম্পন্ন এই জাপানি এয়ারপোর্ট ¯িøপিং ইন এয়ারপোর্ট এর তালিকায় ২০১৫ সালে বিশ্বের তৃতীয় সেরা এয়ারপোর্টের মর্যাদা পেয়েছে। হানেডা পৌঁছাতে টোকিও সিটি সেন্টার থেকে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় লাগে। যেখানে অন্য এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে গড়ে দুইঘণ্টা ব্যয় হয়।

৪.তাইপাই (ঞধরঢ়ধর) তাইওয়ান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (তাইওয়ান)

আশ্চর্য হলেও সত্য, থিম চেয়ার, রেড কার্পেট এবং সুবিশাল ফ্রি লাইব্রেরিসহ আরো বহু বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন যে এয়ারপোর্ট তার নাম তাইপাই তাইওয়ান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। যারা আনন্দের সবগুলো দরজাই খোলা রেখেছে ভ্রমণকারীর জন্য। মিউজিয়াম, আর্ট গেলারি, একজিবিশন, এবং ফ্রি ১৫ মিনিট শাওয়ার ব্যবস্থাসহ রয়েছে নানাবিধ সুযোগ সুবিধা। ¯িøপিং ইন এয়ারপোর্ট এর জরিপে তাদেও স্থান চতুর্থ।

৫. হংকং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট

বিচিত্র সুযোগ সুবিধার জন্য হংকং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের অবস্থান পাঁচ নম্বর। যাত্রীদের উপভোগের জন্য এয়ারপোর্টটিতে রয়েছে বাগান ব্যবস্থা, ঘুমাবার জন্য রুম (বিশেষ করে রাতের জন্য),স্পা, শাওয়ার ।

৬. মিউনিক (গঁহরপয) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (জার্মানি)

দক্ষতা, দ্রæতগতি, সবকিছু গোছানো, যাত্রিদের যাত্রবিরতি কাটানোর সব ব্যবস্থাই রয়েছে মিউনিক ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। এখানে রয়েছে বার, কেসিনো, সিনেমা হলসহ আরো কিছু বিশেষ সুবিধা। বিশ্বেরসেরা এয়ারপোর্টের তালিকায় মিউনিকের অবস্থান ছয়।

৭. হেলসিংকি (ঐরষংরহশর) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ফিনল্যাড)

বিশ্বময় বন্ধুপরায়ণ এবং সবচেয়ে উদ্ভাবনি এয়ারপোর্ট হেলসিংকি এয়ারপোর্ট। জরিপে সপ্তমে থাকা এয়ারপোর্টটি প্রতিনিয়তই ভ্রমণকারীকে অবাক করে চলেছে। যেমন ২০১৫ সালের মার্চে উদ্বোধন করা স্পেশাল ¯িøপ পড (ঝষববঢ় ঢ়ড়ফং) একটি নতুন উদাহরণ।

৮. ভ্যাঙ্কুভার (ঠধহপড়াঁবৎ) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (কানাডা)

প্রান্তিক অভ্যর্থনা ব্যবস্থা, চিন্তাশীল সাজসজ্জা, অতিরিক্ত আরামপ্রদ, বন্ধুত্বমনা পরিবেশ ইত্যাদি ব্যবস্থা নিয়ে জরিপের অষ্টমে আছে ভ্যাঙ্কুভার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। জরিপে আরো উল্লেখিত হয়েছে এদের এক্সেলেন্ট ডিপারচার লাউঞ্জ, ডজন খানেক আর্ট মিউজিয়াম, একজিবিশন, নানা ধরনের শপ এবং রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থার কথা।

৯. কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (মালয়েশিয়া)

জরিপে নবমে থাকা কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোট (কখওঅ) এর পরিচ্ছন্নতা, প্রশস্ততা এবং গোছানো আয়োজন সবকিছু সত্যিই প্রশংসনীয়। এখানকারর রেস্টুরেন্টগুলোতে রয়েছে অনেক চয়েস। সবধরনের ভ্রমণকারীর জন্য খাবার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ শপিংমল এবং সিনেমা উপভোগের জন্য বিশাল স্ক্রীণ।

১০. জুরিখ ক্লোটেন (কষড়ঃবহ) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট  (জুরিখ, সুইজারল্যা্ড) 

শান্তির দেশ হিসাবে সুইজাল্যাডের পরিচিতি বিশ্বব্যাপি। জুরিখের ক্লোটেন এয়ারপোর্টটি তার শান্ত এবং তুলনামূলক নিরব বৈশিষ্টের জন্য ভ্রমণকারীদের কাছে আকর্ষণীয়। খুবই গোছানো এবং ছিমছাম এয়ারপোর্টটি বিশ্বের সেরা দশে নিজেদের অবস্থান করে নিয়েছে।

পৃথিবীর বাজে-১০ এয়ারপোর্ট

ক্রমানুসারে বিশ্বের বাজে ১০ এয়ারপোর্ট

১. পোর্ট হারকোর্ট (চড়ৎঃ ঐধৎপড়ঁৎঃ) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (নাইজেরিয়া)

¯িøপিং ইন এয়ারপোর্টের বাজে এয়ারপোর্টের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পোর্ট হারকোর্ট ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। এয়ারপোর্ট স্টাফদের বাজে ব্যবহার, অস্বস্তিকর পরিবেশসহ আরো অসংখ্য মন্দ বৈশিষ্টে ভরপুর এই বিমাননন্দর। বসার জন্য পর্যাপ্ত সিটের অভাব, ভাঙা এয়ারকন্ডিশনিং ব্যবস্থা এবং আরো নানান রকম অসুবিধা সম্পন্ন বৈশিষ্ট নিয়ে নাইজেরিয়াতে এটি অবস্থিত।

২. জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (সৌদি আরব) 

প্রচÐ ভিড়, হাউকাউ, চিৎকার চেচামেচি, বাথরুম থেকে আসা সিগারেটের ধোয়ায় দূষিত লাউঞ্জ, ঘন্টার পর ঘন্টা ইমিগ্রেশনে দাড়িয়ে থাকা ইত্যাদি নানা সমস্যার কথা উঠে এসেছে ¯িøপিং ইন এয়ারপোর্টস এর ২০১৫ জরিপে। পৃথিবীর বাজে এয়াপোর্টের তালিকায় জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের স্থান দ্বিতীয়।

৩. ভ্রিভুবন (ঞৎরনযাঁধহ) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (কাঠমন্ডু, নেপাল)

গত বছরের এপ্রিলে ভ‚মিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ভ্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টটির অবস্থান খারাপের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে। তবে ভাল সংবাদ হলো নতুন করে এয়ারপোর্টটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা হয়েছে।

৪. তাসখন্দ (ঞধংশবহঃ) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট  (উজবেকিস্তান)

যাত্রীদের হতাশাপূর্ণ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ¯িøপিং ইন এয়ারপোর্ট এর জরিপে ৪র্থ অবস্থানে তাসখন্দ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। বর্তমানে বহিরাগমন পথে কিছু উন্নতি হলেও, এয়ারপোর্টটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বেশ বাজে বলে মন্তব্য করেছে জরিপ কর্তৃপক্ষ।

৫. কারাকাস সিমন বলিভিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ভেনিজুয়েলা)

ভোটারদের তথ্য মতে কারাকাস সিমন বলিভিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট অত্যন্ত বিশৃঙ্খল, অস্বস্থিকর এবং বিরক্তিকর। বসবার পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব, নোংরা টয়লেট, অতি নি¤œমানের খাবার ব্যবস্থা এই এয়ারপোর্টকে বিশ্বের পাচ নম্বর বাজে বিমানবন্দরের তকমা দিয়েছে ২০১৫ সালে। 

৬. চড়ৎঃ ধঁ চৎরহপব ঞড়ঁংংধরহঃ খড়াঁবৎঃঁৎব ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অরৎঢ়ড়ৎঃ, (হাইতি)

এয়ারপোর্টের ভেতরে অতিশয় গরম আবহাওয়া, বসার জায়গার অভাব, অবিশ্বস্ত স্টাফ, নোংরা পরিবেশ সবমিলিয়ে ছয় নম্বর বাজে এয়ারপোর্টের তালিকায় রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের এই এয়ারপোর্টটি। 

৭. কাবুল হামিদ কারজাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (কাবুল, আফগানিস্তান)

বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এর সমালোচনা না করে ¯িøপিং ইন দ্যা এয়ারপোর্ট তাদের জরিপের ফলাফলে জানিয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব, স্টাফদের বাজে ব্যবহার, ও অনেক কম সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এয়ারপোর্টটির অবস্থান সাত নম্বরে। 

৮.হোচিমিন সিটি তান সন থাত (ঞব্জহ ঝơহ ঘযấঃ) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট  (ভিয়েতনাম)

বাজের তালিকায় আট নম্বরে থাকা এই এয়ারপোর্টটির বিরুদ্ধে বহু জরিপেই নানা অভিযোগের কথা উঠে এসেছে। নোংরা বাথরুম, গতিহীন ডরঋর এবং খাবারের স্বল্প ব্যবস্থা তার অন্যতম।

৯. ইসলামাবাদ বেনজির ভুট্টো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (পাকিস্তান)

২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে বেনজির ভুট্টো এয়ারপোর্ট কিছুটা উন্নতি করেছে বলে মতামত দিয়েছে ¯িøপিং ইন এয়ারপোর্ট। যেমন বাথরুম পরিচ্ছন্ন হয়েছে, নতুন লাউঞ্জ যুক্ত করা হয়েছে, চেক-ইন এর পরিসর বেড়েছে, ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় কিছু উন্নতি ঘটার পরেও বিশেষ করে স্টাফদের দুর্ব্যবহার ও নানা অসুবিধার জন্য বিশ্বের বাজে দশ এয়ারপোর্টের তালিকা থেকে বের হতে পারেনি এয়ারপোর্টটি। ২০১৫ তে এটির অবস্থান নয় নম্বর। 

১০. . চধৎরং ইবধাঁধরং-ঞরষষব ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অরৎঢ়ড়ৎঃ ( ঋৎধহপব)

বিশ্ব এয়ারপোর্ট মান বিবেচনয়ায়  ফ্রান্সের তুলনামূলক কম পরিচিত এই এয়ারপোর্টটি বিশ্বের বাজে দশ এবং ইউরোপের সবচেয়ে বাজে এয়ারপোর্টের তালিকায় রয়েছে।

সুলাইমান জিম