/প্যারিসের পথে পথে 

প্যারিসের পথে পথে 

আবু সুফিয়ান

পৃথিবীতে কেউ একটি দেশ দেখতে চাইলে তাকে যেতে হবে ইজিপ্ট বা মিশর। আর কেউ একটি শহর দেখতে চাইলে যেতে হবে প্যারিস। প্যারিস হচ্ছে ‘সিটি অফ লাইট’। প্যারিস কখনো পুরনো হয় না। প্যারিস শিল্পের শহর। প্যারিস শিল্পীর নগর। তাবৎ পৃথিবীর লেখক, কবি, পেইন্টার, মিউজিশিয়ান, অ্যাকটর, আর্টিস্টের অব্যাহত উপস্থিতি যুগযুগ ধরে প্যরিসকে করে তুলেছে বহুরূপি, রূপসি। শিল্পের নিত্য চর্চিত ছোঁয়ায় প্যারিস কেন্দ্রিক ফ্রান্স পৃথিবীবাসির কাছে পরিচিত ছবির দেশ কবিতার দেশ হিসাবে। দীর্ঘকাল ধরে প্যারিস পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট হিসাবে স্বীকৃত। কিছুকাল পূর্বে লন্ডন নিজেদেরকে টুরিস্টদের সর্বধিক ভিজিটেড সিটি ঘোষণা দেয়ার পরে ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় প্যারিস এখনও টুরিস্টদের পছন্দের তালিকায় এক নম্বর শহর হিসাবে জনপ্রিয়। গড়ে ৩২.৩ মিলিয়ন পর্যটক প্রতি বছর প্যারিস ভ্রমণ করেন। সুযোগ থাকলে বা সুযোগ তৈরি করে একবার প্যারিস ভ্রমণে যাওয়ার চেষ্টা যে কেউ করতে পারেন নিজেকে রাঙাতে, জীবনকে সাজাতে। 

প্রেমে পড়লে মানুষ ‘পাগল’ হয়। বুদ্ধি বিবেচনা কমে যায়। যুক্তি অগ্রাহ্য করে। প্যারিস হচ্ছে এমন এক ‘পাগল’ করা শহর। প্রথমবার ভ্রমণ করে আমি পাগল হয়েছি। সেই পাগলামি থেকে ছয়দফা প্যারিস ভ্রমণের সুযোগ হয়। প্রতিবারই প্যারিসকে নানাভাবে দেখি। থাকি। আমার এই পাগলামি কেবল যে আমার আবেগীয় সীমাবদ্ধতা, তা নয়। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, স্পেন নিয়েও আমার ভ্রমণ কাহিনী আছে। দৈনিক প্রথম আলোসহ নানা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশের সুবাদে সেগুলো পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু প্যারিসের বইয়ের জন্য পাঠক আহুতাহু করে। পাঠকের আহুতাহুকে বিবেচনা করে বইটির বর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। ভ্রমণ-এর পাঠক অনুরোধ ও আগ্রহ বিবেচনা করে চলতি সংখ্যা থেকে ‘প্যারিসের পথে পথে’ মুদ্রণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যারা প্যারিস যাবেন বা যেতে চান, তাদের জন্যও এই লেখা উপকারে আসবে। -সম্পাদক 

যাত্রা প্রস্তুতি

পৃথিবীতে কেউ একটি দেশ দেখতে চাইলে তাকে যেতে হবে ইজিপ্ট বা মিশর। আর কেউ একটি শহর দেখতে চাইলে যেতে হবে প্যারিস। এটা গুণীজনের অভিজ্ঞতার কথা। 

আমাদের প্যারিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। আমরা মানে আমি এবং সাবৃনা। এর মধ্যে ইউরোপ যাত্রার খবরটা সবখানে ছড়িয়ে গেল। আত্মীয়কুল এবং বন্ধুমহল অবগত হোলো। আমাদের চেয়ে বেশি খুশি আমাদের চারপাশের মানুষেরা। তারা বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে শলাপরামর্শ দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেল। ইত্তেফাকের উপদেষ্টা সম্পাদক আখতার-উল-আলম ভাই জিজ্ঞেস করলেন, আমার মাথা ঠিক আছে কি না। নয়তো এই শীতের মধ্যে ইউরোপ যাচ্ছি কেন?

ডিসেম্বর মাস। ইউরোপে এখন ভয়াবহ শীত। বেশির ভাগ জায়গায় টেম্পারেচার মাইনাস। কোথাও কোথাও বরফ পড়ছে। আমি বললাম, মাথা খানিকটা খারাপ হয়েছে। ঠিক করার জন্য শীত দেখতে যাচ্ছি।

আমাদের আরেক ঘনিষ্ঠ স্বজন এক রাতে বাড়িতে এলেন। তিনি আমাদের জন্য কিছু টিপ্স্ দেবেন। জানালেন এটা আমাদের জন্য মহা উপকারে লাগবে। আমাকে বললেন, ডাইরি নিয়ে আসো। লিখে নাও।

সাবৃনা ইউরোপ ট্যুরের জন্য স্পেশাল ডাইরি জোগাড় করেছে। সে দ্রুত সেই ডাইরি নিয়ে এলো। আমি কলম নিয়ে লেখা শুরু করলাম। 

উনি বললেন, ইউরোপে যে শীত তাতে শুধু গরম কাপড় বা জ্যাকেটে কাজ হবে না। খাদ্য খাওয়াও খুব ইম্পর্টেন্ট। প্রত্যেকবার আহার করার পরে ওয়াইন খেতে হবে। বিশেষ করে গোশ্ত জাতীয় কিছু খেলে অবশ্যই একটু বেশি পরিমাণ ওয়াইন খাবারের সঙ্গেই খেয়ে নিতে হবে। নয়তো পেটে গিয়ে ছয়-সাত দিনেও মাংস হজম হবে না। আস্ত থাকবে। বাথরুম সমস্যা হয়ে যাবে। বিরাট কষ্টের ব্যাপার।

আমি চমকে উঠলাম, বলেন কী! 

সাবৃনা উত্তেজিত বোধ করছে। বলল, আমি খাব। 

উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, টিপস নম্বর দুই. ওখানে যেহেতু তোমরা প্রথম যাচ্ছ, সুতরাং সর্দি-কাশি লাগার আশঙ্কা আছে। সর্দি-কাশি হলে খেতে হবে রাম-চা অথবা কফি। তবে দুধ-চিনি খাওয়া হারাম। ওষুধ চলবে না। টিপস নম্বর তিন. শুধু সুয়েটার বা জ্যাকেটে গা গরম হবে না। গা গরম রাখার জন্য সবসময় ব্রান্ডি খেতে হবে। পরিমাণ দুই পেগ। এক পেগ সমান চার চা চামচ। সঙ্গে পানি।

সর্বনাশ! 

সাবৃনা বলল, সর্বনাশের কিছু নেই। আগে জান বাঁচাতে হবে। আমি খাব। এরপরে তিনি কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞান দান করলেন। আমরা গভীর মনোযোগে তার কথা শুনে যাচ্ছি। বললেন,ওখানে বাসস্ট্যান্ডে বা ল্যাম্প পোস্টের কোনো স্ট্যান্ড খালি হাতে ধরা যাবে না। তাতে হাতের চামড়া ঠাÐায় লোহার সঙ্গে লেগে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ ও দমকলকে খবর দিতে হয়। তারা এসে গরম পানি-টানি দিয়ে হাত ছুটাতে সাহায্য করে। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য লেদারের স্পেশাল হ্যান্ড গøাভ্স্ নিতে হবে। ইস্টার্ন প্লাজার তিন তলায় পাওয়া যায়।

যাওয়ার আগে বললেন, পরবর্তী সময়ে ভাষা বিষয়ে কিছু টিপস উনি দেবেন। কেননা ফরাসি এবং বেশিভাগ ইউরোপিয়ান ইংরেজি জানে না বা বলে না। ভাষা একটি বড় সমস্যা।

আমরাও যাত্রা বিষয়ে নানারকম প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মধ্যে একদিন গেলাম মাহবুব কামাল ভাইয়ের অফিসে। কথা প্রসঙ্গে তাকে জানালাম আমরা কুয়ালালামপুর হয়ে প্যারিস যাচ্ছি। যাওয়ার সময় ওখানে দু’দিন থাকব। ফেরার সময় দু’দিন। মোট চার দিন কামাল ভাই বললেন, চমৎকার। মালয়েশিয়াও দেখার মতো। এশিয়ান হওয়া সত্তে¡ও ওরা যে কী উন্নতি করেছে! কামাল ভাই ওদের হাইওয়ের কথা বললেন। যেন ঘুরে দেখি। প্যারিসে প্রাথমিকভাবে আমাদের থাকার জায়গাও তিনি ঠিক করে দিলেন। ঢাকার মিডিয়াতে নিস্বার্থভাবে মানুষের উপকার করেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা খুব বেশি না। অল্প। সেই অল্প কয়জনের মধ্যে কামাল ভাই একজন।

এর মধ্যে একদিন যোগাযোগ করলাম বেলাল ভাইয়ের (কবি বেলাল চৌধুরী) সঙ্গে। আমাদের ইউরোপ ট্যুরের তালিকায় জার্মানিও আছে। জার্মানিতে গেলে নোবেল বিজয়ী লেখক গুন্টার গ্রাসের সঙ্গে দেখা করতে চাই। বেলাল ভাইয়ের সঙ্গে গুন্টার গ্রাসের সম্পর্ক আছে। বেলাল ভাইকে বললাম মি. গ্রাসের ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর দেওয়ার জন্য।

উনি অবাক করে দিয়ে বললেন, গুন্টার গ্রাস পালিয়ে বেড়াচ্ছে। 

পালিয়ে বেড়াচ্ছে মানে? উনি এখন আছেন কোথায়? 

বেলাল ভাই বললেন, সর্বশেষ খবর হলো মানুষের ভিড় এড়ানোর জন্য জার্মানি থেকে উনি লিসবনে গিয়ে একটি বাড়ি করেছিলেন। কিছুদিন আগে সেই বাড়িও বিক্রি করে দিয়েছেন। বিক্রি করে চলে গেছেন উত্তর জার্মানির এক প্রত্যন্ত এলাকায় এবং উনি কোনো ফোন ধরেন না। কোন ফ্যাক্স বা ই-মেইলও তার নেই। কারো সঙ্গে দেখাও করেন না। 

আমাকে বিস্মিত করে বেলাল ভাই যোগ করলেন গুন্টার গ্রাস বিদ্যুতের লাইটের আলোও পছন্দ করেন না। উনি লণ্ঠনের আলোতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লেখেন। বসে লিখতে পারেন না। 

এই তথ্য আমার জানা ছিল না। খুবই তাজ্জব হলাম। তবু বেলাল ভাই বললেন, কলকাতার শুভ প্রসন্নের সঙ্গে ওর যোগাযোগ আছে। এর মধ্যে শুভ সম্ভবত কলকাতা আসবে। আমার সঙ্গে যোগাযোগ হবে। আমি খোঁজ নিচ্ছি। তুমি আমাকে পরে ফোন কোরো। 

আমি খানিকটা চিন্তায় পড়ে গেলাম। বিভিন্নজন অনেক পরামর্শ দিচ্ছেন সত্যি। কিন্তু এরা কেউই প্যারিসে যাননি। প্যারিসে গেছেন এবং দেখেছেন এমন এক অভিজ্ঞ ওস্তাদের কাছে গিয়ে শেষে হাজির হলাম। উনি আমাদের প্রিয় শফিক ভাই। যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান। দেখা মাত্রই আমাকে তার ড্রইং রুমে বসিয়ে ওপরে চলে গেলেন। ফিরলেন কাগজ হাতে নিয়ে। তাতে প্রায় এক পাতার একটি নোট লিখে দিলেন, প্যারিসে যেসব বিষয় অবশ্যই দেখতে হবে তার একটি তালিকা। কোনটি কত সময় নিয়ে দেখতে হবে সেটাও লেখা আছে। তালিকাটি নিম্নরূপ :

প্যারিসে অবশ্য দর্শনীয় :

১. আইফেল টাওয়ার : শীর্ষে যেতে হবে (আধা দিন)। ২. লুভ (খড়াঁৎব) মিউজিয়াম : মোনালিসার মূল ছবিটি এখানে আছে (এক দিন)। ৩. লেফট ব্যাংক ও নটরদাম : বইপড়া (আধা দিন)। ৪. মমার্ত; সন্ধ্যার পরে (১/৪ দিন)। ৫. জর্জ পপিন্দু সেন্টার (আধা দিন)। ৬. সঁজেলিজে : দিনে ও রাতে হাঁটতে হবে। খুবই সুন্দর সাজানো সড়ক। ৭. বাস্তিল দুর্গ : বাইরে থেকে দেখলেই হবে। ৮.আর্চ অফ ট্রয়াঙ্ক : উপরে না উঠলেও চলবে। ৯. গ্যালারি লাফায়েত : প্যারিসের সবচেয়ে বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। ফ্রান্সের কোটিপতিরা এখানে শপিং করে (আধা দিন)। ১০. ভার্সাই : কোচট্রিপ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত এখানে থাকতেন (আধা দিন ) ১১. মোলো রুজ (গড়ঁষরহ জড়ঁমব) নাইট ক্লাব। এখানে নগ্ন নর-নারীর বিভিন্ন রক নৃত্য প্রদর্শিত হয়। বিল ক্লিনটনসহ বিভিন্ন বিশ্বনেতারাও এখানে শো দেখতে এসেছেন এবং আসেন। ওদের এই নগ্ননৃত্য বিশ্ব দরবারে এখন শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে। ১২. ডায়না সাট : সেইন নদীর টানেলে যেখানটায় লেডি ডায়না গাড়ি দুর্ঘনায় মারা গেছেন। 

আরও কিছু টিপস লিখে দিলেন : প্রধান সড়কের পাশাপাশি ছোট সড়কে হটডগ, স্যান্ডউইচ খাওয়া যাবে। ফ্রান্স পনিরের দেশ। আড়াইশ রকম পনির ওখানে তৈরি হয়। পনির খাবে। একদিন ফরাসি ডিস খাবে। চা-কফির দাম বিষয়ে সর্তক থাকবে। বিফ খেলে ওয়েলডান করে দিতে বলবে। কেননা ফরাসিরা মাংস কাঁচা কাঁচা খেতে পছন্দ করে। জামবো অথবা পর্ক অথবা হ্যাম মানে শূকরের মাংস। সাবধান থাকবে। 

এরমধ্যে বঙ্গবাজার চষে আমরা মাইনাস শীতের জন্য জ্যাকেট কিনলাম।

বিপদে পড়লাম সুটকেস কিনতে গিয়ে। বিদেশী ওয়ান হ্যান্ড ইউজড্ সুটকেসে ভরসা রাখতে পারলাম না। দেশী নতুন সুটকেস কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম। পেয়েও গেলাম। বড় সুটকেস। বড় সুটকেসের বডি দুর্বল হয়। চাকায়ও শক্তি থাকে কম। মাল তুললে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। উপরন্তু দেশী মাল! সব মিলিয়ে দ্বিধায় পড়ে গেলাম। 

দোকানি চতুর। সে আমার ভাব বুঝে ফেলেছে। সুটকেস খুলে এক কর্মচারীকে ডাকল, ফরিদ এদিকে আয়। 

ফরিদ এলো। 

ভেতরে হান (ভেতরে ঢোক)। 

ফরিদের বয়স সতের-আঠার। মাঝারি গড়ন। সে খরগোশের বাচ্চার মতো লাফ দিয়ে সুটকেসের ভেতর ঢুকে গেল। দোকানি সুটকেসের চেইন লাগিয়ে দিয়েছে। আদম ভরা সুটকেসের হ্যান্ডলে ধরে টেনে দেখাচ্ছে সুটকেসের চাকার তাকদ। লম্বা দোকানে গড় গড় করে সুটকেস চলছে। 

আমরা বিস্মিত! দোকানির কারবার দেখছি। এই দৃশ্য দেখে আমাদের দ্বিধা ও সন্দেহ কেটে গেল। সর্ম্পূণ বাংলাদেশের তৈরি সুটকেস কিনে ফেললাম। 

এগুলো গেল বাইরের দিক। ঘরের দিকও কিছু আছে। এক রাতে আমার শাশুড়ি আবিষ্কার করলেন গভীর অন্ধকারে আমার শ্বশুর সিগারেট খাচ্ছেন। অবাক হলেন। তারপরে দেখলেন আরও আশ্চর্যের ব্যাপার। উনি গøাসে পানি খাচ্ছেন না। মদের বোতলের কায়দায় পানি বোতল দিয়ে পানি খাচ্ছেন। শ্বশুর মোজাদ্দেদিয়া সিলসিলা তরিকার বায়াত। মদ-পানি তো দূরের কথা, বিড়ি-সিগারেটেরও অভ্যাস নেই। 

শাশুড়ি জিজ্ঞেস করলেন, ঘটনা কী? তুমি এসব কী শুরু করেছে? মনে কি রঙ লেগেছে? 

উনি শান্ত জবাব দিলেন, মনে খুবই আনন্দ লাগছে। মেয়ে-জামাই ইউরোপ যাচ্ছে। ছেলে স্কলারশিপে কানাডা যাচ্ছে, এই খুশিতে একটু সিগারেট খাচ্ছি। আর পানির বোতল দিয়ে দুধের সাধ ঘোলে মেটাচ্ছি। 

এরই মধ্যে ০৬ ডিসেম্বর চলে এলো। আমাদের যাত্রার দিন। চারদিকে আনন্দিত মানুষের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। প্যারিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম কুয়ালালামপুরে। (চলবে..)