
রাতের নিউইয়র্ক সিটি
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত প্রিমিয়াম ভিসা আবেদন সেবাটি চালু হলে একটি দ্বৈত ভিসা আবেদন ব্যবস্থা শুরু হবে যেখানে ধনী আবেদনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য স্ট্যান্ডার্ড বা সাধারণ আবেদনকারিদের চেয়ে তুলনামূলক কম সময় অপেক্ষা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন টুরিস্ট এবং নন- ইমিগ্রান্ট ভিসা আবেদনকারিদের দ্রুত অ্যাপয়েনমেন্টে লাভের জন্য বিতর্কিত একটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট ভিসা ফি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। এতে করে ১০০০ ডলার ভিসা ফি দিয়ে তুলনামূলকভাবে দ্রুত ভিসা আবেদনের জন্য আবেদনকারিগণ এপয়েনমেন্ট নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধরণের ভিসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভিসা আবেদন ফি ১৮৫ ইউএস ডলার।

প্রস্তাবিত প্রিমিয়াম ভিসা আবেদন পরিষেবাটি চালু হলে দ্বৈত ভিসা আবেদন ব্যবস্থা শুরু হবে যেখানে ধনী আবেদনকারীদের ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য স্ট্যান্ডার্ড বা সাধারণ আবেদনকারিদের চেয়ে তুলনামূলক কম সময় অপেক্ষা করতে হবে। এরফলে কয়েক দশক ধরে বিদ্যমান অভিন্ন ভিসা ফি কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় নাটকীয় পরিবর্তন আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের প্রথম দিকে এটি পাইলট আকারে চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র।
‘প্রিমিয়াম সার্ভিস’ বা দ্রুত পরিষেবাটি বিদ্যমান ভিসা প্রক্রিয়াকরণ চ্যানেলের পাশাপাশি একটি বিকল্প হিসাবে কাজ করবে, যা স্ট্যান্ডার্ড এবং প্রিমিয়াম আবেদনকারীদের জন্য পৃথক লাইন তৈরি করবে। ফেডারেল কর্মকর্তারা বর্তমান প্রশাসনিক অবস্থা বিবেচনা করে বেধে দেয়া এই সময়সীমাকে কঠিন বলে মনে করলেও তা অর্জনযোগ্য বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিবাসন পরিষেবাগুলোকে অর্থায়নের যে বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করছেন এটি তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ট্রাম্প একইসাথে ‘গোল্ডকার্ড প্রগ্রাম’ নামে ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, ফলে ধনী ব্যক্তি যারা দ্রুত আমেরিকায় বসবাসের উপায় খুঁজছেন এই প্রগ্রামের মাধ্যমে তাদেরকেই মূলত টার্গেট করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ অর্থবছরে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ১ কোটি ৪ লক্ষ অ-অভিবাসী ভিসা প্রসেস করেছে, যার মধ্যে ৫৯ লক্ষ টুরিস্ট ভিসাও রয়েছে।
ভ্রমণডেস্ক (বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সৌজন্যে)