
গত ২৬ সেপ্টেম্বর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে Claymire এর উদ্যোগে Placemaking Bangladesh এর সহযোগিতায় উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক নকশা প্রদর্শনী ÔA Healing Space – Winner’s Showcase’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ, অশোক কর্মকার, এবং এ. কে. এম. সালেহ আহমেদ অনিক।

‘A Healing Space – Winner’s Showcase’ হচ্ছে Claymire -এর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ডিজাইন প্রতিযোগিতা। বিশ্বব্যাপী অংশগ্রহণকারীরা এখানে তাঁদের সৃজনশীল প্রস্তাবনার মাধ্যমে দেখিয়েছেন কীভাবে নকশা মানুষের, সমাজের এবং পৃথিবীর আরোগ্যে ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তুতে উঠে এসেছে মানুষের স্বাচ্ছন্দ্য ও কল্যাণ, সমষ্টিগত স্মৃতি ও সমাবেশের স্থান, এবং পরিবেশবান্ধব নকশাÍযা নকশাকে শুধু কাঠামো নয়, বরং আরোগ্যের এক কার্যকর মাধ্যম হিসেবে উপস্থাপন করে।
এই বছরের বিজয়ী প্রকল্পগুলো হলো “বিয়ন্ড দ্য ওয়াল”, তৈরি করেছেন মরিয়ম বিন্তে রহমান, অমিত দত্ত, জান্নাতুল ফেরদৌস খান জ্যোতি ও এমডি. শিহাব প্রামাণিক। এই প্রকল্পে ঢাকার শহরে বেড়ে চলা দেয়ালকে নতুনভাবে কল্পনা করা হয়েছে, যাতে সেগুলো শুধু বাধা নয়, বরং মানুষকে মিলিত করার এবং সংলাপের স্থান হয়ে ওঠে। নগরের অবহেলিত স্থানগুলোকে এটি সংযোগ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির স্থানে পরিণত করে। আর “কমলার ডাকে মননের পানে” প্রকল্পটি করেছেন এন এম শামসুল ইসলাম, সাদিকা আলম সায়মা, তানভীর আহমেদ ও ওমর ফারুক। এখানে একটি পুরনো প্যাডেল স্টিমারকে পুনরায় জীবন্ত করে নদীকে স্মৃতি, পরিচয় ও কমিউনিটি মিলনের স্থান হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যেখানে কমলা রঙের হালটি হয়ে উঠেছে ঐতিহ্য, শান্তি ও নাগরিক অংশগ্রহণের প্রতীক।
Claymire একটি সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম, যা স্থপতি, শিল্পী, ডিজাইনার এবং শিক্ষার্থীদের একত্র করে নতুন নকশার ধারণা নিয়ে কাজ করে। প্রতিযোগিতা, প্রদর্শনী এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে তারা সৃজনশীলতা এবং সহযোগিতার এক প্রাণবন্ত ক্ষেত্র তৈরি করে।
Placemaking Bangladesh একটি যৌথ উদ্যোগ, যা নগর ও গ্রামীণ পরিসরকে আরও প্রাণবন্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই করার লক্ষ্যে কাজ করে। তারা গবেষণা, ডকুমেন্টেশন, শিক্ষা এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক কর্মকা-ের মাধ্যমে নকশাকে মানুষের জীবনের সাথে সংযুক্ত করে তোলে।
ভ্রমণডেস্ক