
এই গ্রাফিকটি ২০২৪ সালে বিশ্বের ১০টি বৃহত্তম পর্যটন অর্থনীতির তালিকা তুলে ধরেছে
বিশ্বপর্যটনক্ষেত্রে আগামী দশকে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে, ভারত উঠে আসবে চতুর্থ স্থানে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজকের পৃথিবীর প্রায় সকল বৃহৎ কিংবা ক্ষুদ্র রাষ্ট্রেরও প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হচ্ছে পর্যটন। কারণ পর্যটন একযোগে ১০৯টি শিল্পের সাথে যুক্ত এবং এরসাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে আরও ১১০০ উপশিল্পখাত; শুধু তাই নয়, পৃথিবীর পরীক্ষিত, প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত পরিসংখ্যান বলছে একজন পর্যটকের (ডোমেস্টিক কিংবা ইন্টারন্যাশনাল) আগমনে ৯ থেকে ১১টি সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরি করে এবং দেশ ও অঞ্চলভেদে পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় আরও ৩৩টি। চলমান সংঘাতময় পৃথিবীতেও প্রতি আড়াই সেকেন্ডে ১টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে পর্যটনখাতে। সর্বোপরি পর্যটন সামগ্রিক অবকাঠামো এবং বৈশ্বিক সংযোগকে শক্তিশালী করে।
উল্লেখিত চিত্রটি বিভিন্ন দেশের পর্যটন অর্থনীতির আকারের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০টি দেশকে তুলে ধরেছে, যারমধ্যে হোটেলে থাকা এবং বিমান ও পরিবহনসহ নানা আকর্ষণ এবং পরিষেবা সবকিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
২০২৪ সালে ২.৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক অবদানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী পর্যটন অর্থনীতির খেতাব ধরে রেখেছে। অন্যদিকে চীনের পর্যটন খাত ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার অবদান রেখেছে, যা আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ উভয় ভ্রমণের জন্য একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এর ভূমিকাকে তুলে ধরে।
বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সত্ত্বেও WTTC-এর পূর্বাভাস হচ্ছে আগামী দশকের মধ্যে চীন শীর্ষস্থান অধিকার করবে। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আয় বৃদ্ধি এবং পর্যটন উন্নয়নের উপর মনোযোগ দেশটির প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করা এবং নতুন কর-রিফান্ড শপিং নীতি প্রবর্তনসহ বেশ কয়েকটি নীতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইউরোপ এখনও এখনো বিশ্বের অন্যতম প্রধান পর্যটন খেলোয়াড়। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি এবং স্পেন শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে। এই দেশগুলো তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সেইসাথে শক্তিশালী রেল ও বিমান যোগাযোগের কারণে টেকসই পর্যটনক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভিজুয়াল ক্যাপিটালিস্ট অবলম্বনে ভ্রমণডেস্ক