
কতোদিন লিখি না কবিতা
কতোদিন লিখি না কবিতা
বৈশাখী ঝড় গ্যালো গ্রীষ্মবরষা গ্যালো
আরো আগে হ’য়ে গ্যাছে বসন্ত বিদায়।
কতো কান্না কতো হাসি হ’য়েছে অতীত
ফোটেনি এ বাগিচায় একটিও কবিতাকুসুম।
মিছিল মিটিং গ্যালো
তার সাথে আন্দোলন হরতাল গ্যালো
গ্যালো বন্যা মহামারী দুর্ভিক্ষের বুটের আওয়াজ
অরাজক এই দেশে
গ্যালো কতো নষ্ট নির্বাচন।
গ্যালো কতো সেমিনারে খ্যাত বুদ্ধিবিক্রেতার
ধোঁকাবাজি চতুর ভাষণ।
পাশাপাশি নিরাশ্রয়ী জনতার জন্ম-মৃত্যু গ্যালো
কৃষকের জমি গ্যালো ঋণভারে
যৌতুকের জালে গ্যালো শূন্য হয়ে কতো সংসার
তবুও কলমে কোনো কবিতা এলো না ক্যানো
দুঃখের শাসন দিয়ে থামানো কি যায়
মানুষের অন্তরের শুদ্ধ সুখ, নান্দনিক তৃষা?
কতোদিন লিখি না কবিতা
জানা নাই কী তার কারণ
জানা নাই ক্যানো শিল্পী অবিশ্বাসী হয়
খ্যাতিমান কবি ক্যানো হয় জড়বাদী
পূর্ণতার প্রান্ত ছেড়ে ক্যানো
প্রদোষে ঠিকানা রাখে প্রজ্ঞার
ক্যানো হয় অকৃতজ্ঞ ক্যানো ভোলে মূল কথা
ক্যানো ভোলে সূচনার স্মৃতি।
প্রত্যাবর্তন যার প্রতি
জবাবদিহির ভয় কীভাবে যে উবে যায়
মানুষের মিছিলের এই সব নেতাদের
অন্তরের ময়দান থেকে
কবি কি মানুষ নয়, কিংবা নেতা, কিংবা বুদ্ধিজীবী?
মানুষের পথ এক তবু ক্যানো ক্যানো
কাগজে মগজে হত মানুষের নবী নির্ভুল?
কতোদিন লিখি না কবিতা
দিন গ্যালো মাস গ্যালো
বছরও গড়িয়ে যায় জীবনের সাথে সাথে যায়
তবু কবিতার সাথে দেখা নাই আজো।
শিল্পের অন্তরে যদি বাস করে অবিশ্বাস
শুধু কাব্য ভ্রষ্টতার মানুষের কোন্ কাজে লাগে?
কতোদিন লিখি না কবিতা
কী হবে কবিতা লিখে
যখন বিষিত বিশ্ব সভ্যতার শিরোচ্ছেদ চায়?
এবার এসেছি তাই সেই কাব্যপথে
যে পথের নেতা নবী
যার প্রেমে শুদ্ধ হয়
কবি সুদ্ধ সকল মানুষ।