
“অমর রেজিমেন্ট” ও “সেন্ট জর্জ রিবন” কর্মসূচির মতো আকর্ষণীয় আয়োজনসহ একাধিক ঐতিহাসিক ও দেশপ্রেম উদ্দীপক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ঢাকায় রুশ হাউজ এবং রাশিয়ান স্বদেশবাসী সংগঠন “রোদিনা”-এর যৌথ উদ্যোগে মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধ বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশপ্রেম উদ্দীপক একাধিক ঐতিহাসিক আনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত জি খোজিন, ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউসের পরিচালক পি দভোইচেনকভ, “রোদিনা” অ্যাসোসিয়েশন এবং লিবারেশন ওয়ার একাডেমি ট্রাষ্টের প্রতিনিধিরা। তারা তাদের বক্তৃতায় উল্লেখ করেন যে “অমর রেজিমেন্ট” প্রচারাভিযান একটি বিশ্বব্যাপী ঐতিহাসিক উদ্যোগে পরিণত হয়েছে, ব্যাপকতায় অভূতপূর্ব এবং নাগরিক ঐক্যের এক অনন্য উদাহরণ।

বক্তব্যের পর ঢাকার কেন্দ্রীয় সড়কে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল ও গাড়ি অংশ নিয়ে একটি মোটর-কার শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। স্বেচ্ছাসেবকরা সমাবেশের পথে ৮০ মিটার দীর্ঘ “সেন্ট জর্জ রিবন” বহন করে এবং পথচারীদের মধ্যে বিজয় দিবসের প্রতীক বিতরণ করে এবং তাদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে। এই প্রচারাভিযানটি জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ জাগিয়ে তোলে এবং রাশিয়ার প্রতি তাদের শুভেচ্ছা প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে উষ্ণ প্রতিক্রিয়া আকর্ষণ করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে “অমর রেজিমেন্ট” এবং “সেন্ট জর্জ রিবন” প্রচারণা ঢাকায় একটি নিয়মিত ইভেন্টে পরিণত হয়েছে, যা বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান মনোযোগ ও অংশগ্রহণ আকর্ষণ করছে। ২০২৫ সালের এই উদযাপনে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ অংশ নেন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন সাংবাদিক, স্বদেশবাসী, স্বেচ্ছাসেবক, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ সোভিয়েত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, লিবারেশন ওয়ার একাডেমি ট্রাস্টের প্রতিনিধি, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং ঢাকার সমাজের বিভিন্ন স্তরের নাগরিক।
ভ্রমণডেস্ক
এই অনুষ্ঠানটি সত্যিই দেশপ্রেম ও ঐতিহাসিক স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি অসাধারণ উদ্যোগ। “অমর রেজিমেন্ট” এবং “সেন্ট জর্জ রিবন” কর্মসূচি শুধু রাশিয়ার ইতিহাসই নয়, বিশ্বব্যাপী ঐক্য ও শান্তির বার্তা বহন করে। ঢাকায় এই আয়োজনটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে রাশিয়ার প্রতি আগ্রহ ও সমর্থন বৃদ্ধি করেছে বলে মনে হচ্ছে। মোটর-কার শোভাযাত্রা এবং সেন্ট জর্জ রিবন বিতরণের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। তবে, এই ধরনের আয়োজন কীভাবে বাংলাদেশের নিজস্ব ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে? এটি কি শুধুই রাশিয়ার ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা, নাকি এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণও তাদের নিজস্ব দেশপ্রেমের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছে? এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আরও আলোচনা হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আপনি কী মনে করেন?