ফ্রান্স : ছবির দেশ..কবিতার দেশ-১

ফ্রান্স দেশটি ভ্রমণপিয়াসুদের জন্য স্বর্গ। প্যারিসের মূল এভিনিউ থেকে কোত্ দা জ্যুরের সমুদ্রতীরবর্তী কেতাদুরস্ত রিসোর্ট যেন হাতছানিতে ডাকছে। এই অঞ্চলে ছড়ানো বিশ্বের অপরূপ সুন্দর নৈসর্গিক দৃশ্য। ফ্রান্সের রূপকথার দুর্গ, সুউচ্চ গির্জা আর ছবির মতো নিখুঁত গ্রাম রোমান্টিকদের পুলকিত করে। এমনকি প্রগতিশীল ও সমসাময়িক শৈলীতে বাস্তববাদীরাও এখনও বিমুগ্ধ হন। ফ্রান্সের আধুনিকতার প্রতীক আইফেল টাওয়ার। সেজন্য সেখানেই শুরু হওয়া উচিত ফ্রান্স দর্শন। এরপর ল্যুভর জাদুঘরে বিখ্যাত শিল্পকর্মের ভুবনে হারিয়ে যান। ফরাসি রাজপরিবারের উত্তরাধিকারী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে একদিন অনায়াসে কাটাতে পারেন ভার্সাইয়ের মার্জিত প্রাসাদে। পানভোজনের জন্য ফরাসিদের সুনাম দুনিয়াজোড়া। তাই সুস্বাদু খাবার ও পানীয় ধীরসুস্থে চেখে দেখার জন্য আলাদা সময় হাতে রাখুন। ঐতিহ্যবাহী ফরাসি ভোজনবিদ্যা স্পর্শাতীত ঐতিহ্যের (ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ) তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউনেস্কো। ফ্রান্সের প্রতিটি অঞ্চলের নিজস্ব স্বাতন্ত্রসূচক রন্ধনপ্রণালী ও সংস্কৃতি রয়েছে। ব্রিতানির উদ্ভট মাছধরা গ্রাম ক্রেপ কাপড় ও সমুদ্রজাত খাবারের জন্য খ্যাত। ফরাসি আল্পসে আরামদায়ক কাঠের কুটিরে পরিবেশন করা হয় কাঠের চুলায় বিশেষভাবে রান্না করা মাংসের (সাধারণত শূকর) সঙ্গে গরম গরম ‘ফনডুয়ে’। পনির গলিয়ে তৈরি মনকাড়া ‘ফনডুয়ে’ পরিবেশনেও রয়েছে বৈচিত্র্য। বহনযোগ্য উনুনে বসানো বিশেষ ধরনের পাত্রে খাবারটি গরম রাখে মোমবাতি বা স্পিরিট ল্যাম্পের উত্তাপ। মুখরোচক খাবার-দাবার ও সুগন্ধে বিমোহিত হওয়ার দুর্নিবার আকর্ষণই মানুষকে বার বারে টেনে আনে ফ্রান্সে।

আইফেল টাওয়ার

প্যারিস বা ‘পারী’ শহরের প্রতীক আইফেল টাওয়ার (ঊরভভবষ ঞড়বিৎ)। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলোর অন্যতম। সারা দুনিয়া একে আইফেল টাওয়ার নামে জানলেও ফরাসিরা একে বলে ‘লা র্তু ইফেল্’। ৮,০০০ ছোট-বড় ধাতব খ- জুড়ে তৈরি কাঠামোটি নির্মাণকুশলতার অসাধারণ এক কীর্তি। ১৮৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের শতবর্ষ উপলক্ষে প্যারিসে বসেছিল  বিশ্ব¦মেলা। এই মেলার প্রবেশ তোরণ হিসেবে গুস্তাভ আইফেলের পরিকল্পনায় তৈরি হয়েছিল এই টাওয়ার। ৩২০ মিটার উঁচু টাওয়ারটি তখন নামীদামি শিল্পী-লেখক-বুদ্ধিজীবী-প্রকৌশলীসহ অনেকেরই মন জয় করতে পারেনি। কিন্তু এখন আইফেল টাওয়ার পেয়েছে অপরিমেয় জনপ্রিয়তা এবং এটি এখন প্যারিসের আকাশপ্রান্তেরও পরিচায়ক। এর অনন্য লালিত্যের জন্য ডাক নাম হয়েছে ‘আয়রন লেডি’। টাওয়ারের পর্বতপ্রমাণ আকার ও তিনস্তরের প্রতিটি ধাপ থেকেই উত্তেজনাপূর্ণ বিস্তৃত দৃশ্য দর্শনার্থীদের বিমুগ্ধ করে। প্রথম স্তর অথবা দ্বিতীয় স্তরের ওপর মিশালা-তারকাপ্রাপ্ত ‘জুলে ভার্ন’ রেস্তোরাঁয় বসে পানভোজনের সঙ্গে চারপাশের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ২৭৬ মিটার উঁচু শীর্ষস্তর থেকে প্যারিসের সুদূরপ্রসারী অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখা যায় এবং রৌদ্রোজ্জ্বল পরিষ্কার দিনে এর ব্যাপ্তি ৭০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।

ল্যুভর জাদুঘর

ফরাসি রাজাদের পুরনো প্রাসাদেই গড়ে উঠেছে ল্যুভর জাদুঘর (খড়াঁৎব গঁংবঁস)। এই অতুলনীয় জাদুঘরটি ইউরোপীয় শিল্পকলার এক শীর্ষস্থানীয় সংগ্রহশালা। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ‘মোনা লিসা’, ভেরোনিসের ‘ওয়েডিং ফিস্ট অ্যাট কানা’, খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর ‘ভেনাস ডি মাইলো’ ভাস্কর্যসহ পশ্চিমা সভ্যতার সবচেয়ে বিখ্যাত সৃষ্টির অনেকগুলোই এখানে রয়েছে। জগদ্বিখ্যাত শিল্পীদের গড়া বিপুল এই কীর্তির বেশিরভাগই ছিল আবার এই প্র্রাসাদে বাস করা রাজাদের সম্পদ। এছাড়া ভ্যাটিকান ও ভেনিস প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে ফ্রান্সের চুক্তি ও প্রথম নেপোলিয়নের ভা-ারে পাওয়া অনেক শিল্পকর্মেরও এখানে ঠাঁই হয়েছে। ল্যুভরে অগণিত শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টিসহ ৩০,০০০ শিল্পকর্মের রয়েছে অভূতপূর্ব সংগ্র্রহ। বিশ্বসেরা এমন সব সৃষ্টিকর্ম একদিনে বা এমনকি এক সপ্তাহের মধ্যেও পুরোপুরি দেখা সম্ভব নয়। এজন্য সবচেয়ে ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতার জন্য এই শিল্পভা-ারে সংরক্ষিত প্রধান প্রধান সৃষ্টিকর্মের সংক্ষিপ্ত তালিকা করে মনোনিবেশ করুন।

ভার্সাই প্রাসাদ

শুধুমাত্র রাজকীয় একটি প্রাসাদই নয়; ফরাসি রাজতন্ত্রের মহিমা তুলে ধরতেই করা হয়েছিল ভার্সাইয়ে এই প্রাসাদ তৈরির পরিকল্পনা। ‘সূর্যের রাজা’ চতুর্দশ লুই তার বাবার ছোট্ট শিকারগৃহটিকে ঐশ্বর্যবান বারোক শৈলী ও অভ্যন্তÍরীণ সাজসজ্জায় সুরম্য এক প্রাসাদে রূপান্তরিত করেন। চতুর্দশ লুই এর পরম ক্ষমতার প্রতীক ও ইউরোপে রয়্যাল কোর্টের আদর্শ এই প্রাসাদ। স্থপতি জুল আরদুঁয়া মঁনসার সুনিপুণ দক্ষতায় একে রাঙিয়েছেন অপরূপ সাজে। বিখ্যাত ‘হল অব মিরর’ বা আয়না মহলে রাজা তার রাজকীয় ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে দর্শকদের বিমুগ্ধ করতেন। আর হলের জানালা গলে সূর্যালোক ভেতরে প্রবেশ করে দেয়ালে ঝোলানো বাহারি আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে স্ব^র্ণালী আলোকচ্ছটায় চারপাশ ভরিয়ে তুলতো। ভার্সাই প্রাসাদ (চধষধপব ড়ভ ঠবৎংধরষষবং) আলংকারিক জলাশয়, পুরোপুরি ছাঁটা গুল্ম এবং আকর্ষণীয় ঝরনা সমন্বিত প্রথাগত ফরাসি উদ্যানের জন্যও বিখ্যাত। দু’ভাগে বিভক্ত উদ্যানটির একপ্রান্তে রানি আমলে দো মারি অনতোয়ানেত ‘খেলাঘর’। রাজসভার প্রথা ও মেকি সামাজিকতা সইতে না পেরে সেখানেই একান্তে সময় কাটাতেন মারি।

কোত দা জ্যুর 

ফ্রান্সের সবচেয়ে পরিপাটি ও প্রসারিত তটরেখা কোত্ দাজ্যুর (ঈষ্ঠঃব ফ’অুঁৎ); ঠিক যেন এক মায়াজাল! ভূমধ্যসাগরের সম্মোহিত গভীর নীল রঙের জল আছড়ে পড়ছে বেলাভূমিতে। সেজন্যই দক্ষিণাঞ্চলীয় কোত দা জ্যুরের আরেক নাম ‘নীল উপকূল’। ফরাসি রিভিয়েরা খ্যাত কোত দা জ্যুর; সাঁ-ত্রোপেজ বা সেন্ট ট্রোপেজ থেকে ইতালি সীমান্ত সংলগ্ন মেন্টন পর্যন্ত বিস্তৃত। গ্রীষ্মকালে সমুদ্রতীরবর্তী তামাম রিসোর্ট সৈকতপ্রেমী ও ‘সূর্যপূজারীদের’ ভিড়ে কানায় কানায় ভরে ওঠে। দুনিয়ার ধনী ও বিখ্যাত ব্যক্তিরাও ছুটে আসেন এখানকার নিজস্ব বিলাসবহুল ভিলায়; বিলাসী প্রমোদতরীতে চষে বেড়ান নীল জলের বুকে। সৈকতনগরী নিসের (ঘরপব) সুনাম সাগরের অপরূপ সৌন্দর্য ও নক্ষত্র জাদুঘরের জন্য। কান (ঈধহহবং) ঐতিহ্যবাহী চলচ্চিত্র উৎসব ও কিংবদন্তির হোটেল-রেস্তোরাঁর জন্য বিখ্যাত। আলো-ঝলমলে উপকূলীয় এমন এক শহরের পাশেই সেরা বালুকাময় সৈকতঘেরা শহর আন্তিব। সাঁ-ত্রোপেজে দৃষ্টিনন্দন সৈকতে বেড়ানো ছাড়াও রয়েছে স্থানীয়দের সঙ্গে মাছধরা উপভোগের দারুণ সুযোগ। আর একচেটিয়া বাতাবরণ ও অত্যাশ্চর্য সৌন্দর্য নিয়ে দুহাত বাড়িয়ে সবাইকে ডাকছে মোনাকো।

মোঁ সাঁ-মিশেল

নর্মান্ডির উপকূলে সাগরের বুকে নাটকীয়ভাবে জেগে ওঠা দ্বীপ মোঁ সাঁ-মিশেল বা মন্ট সেন্ট-মিচেল। এটি ফ্রান্সের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থানগুলোর অন্যতম। এই ‘সমুদ্র পিরামিড’ যেন রহস্যময় এক চোখ; পাথুরে ক্ষুদ্র দ্বীপটি দেয়াল ও বুরুজ দ্বারা পরিবেষ্টিত। জোয়ারের সময় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপ মোঁ সাঁ-মিশেল। আর ভাটার সময় বালুকাময় বেলাভূমিতে অনায়াসেই হেঁটে বেড়ানো যায়। এর প্রধান পর্যটক আকর্ষণ ‘অ্যাবে ডি সেন্ট-মাইকেল’। কথিত আছে, ৭০৮ সালে আভ্রঁশের আর্চবিশপ ঔবার্ট এটি প্রতিষ্ঠার পর শ্রেষ্ঠ দেবদূতদের একজন মাইকেল স্বপ্নে তার কাছে হাজির হন। সমুদ্রের বুকে ১৫৫ মিটার উঁচু এই মঠের গথিক চূড়া মধ্যযুগীয় স্থাপত্যের এক অপার বিস্ময়। চমৎকার এই স্থাপনাটি চুনাপাথরের মহিমান্বিত একটি অভয়ারণ্যও। ১১ শতকে নির্মিত হওয়ার পর পরই মঠটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানে পরিণত হয়। মোঁ সাঁ-মিশেল ভ্রমণে আত্মায় সুনির্মল প্রশান্তি নেমে আসে; সেজন্য দ্বীপটি ‘স্বর্গীয় জেরুজালেম’ নামেও পরিচিত।

লোয়ার ভালে শাতো

লোয়ার ভালে শাতো ভ্রমণ যেন শিশুদের রূপকথার গল্পের বইয়ের পাতায় পাতায় ঘুরে বেড়ানো। অরণ্য ও নদীবেষ্টিত উপত্যকাটির গ্রামীণ পথেঘাটে ছড়ানো রূপকথার দুর্গ-পরিখা-গম্বুজ। ‘ফ্রান্সের বাগান’ হিসেবেও পরিচিত এই ভ্যালি। নানা বর্ণ ও গন্ধের হরেক স্বাদের পানীয় তৈরির জন্য খ্যাত এই উপত্যকা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবেও তালিকাভুক্ত। লোয়ার উপত্যকায় মধ্যযুগীয় কয়েকটি দুর্গ পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত এবং সুরক্ষার জন্যও পাহাড়বেষ্টিত। সবচেয়ে বিখ্যাত লোয়ার শাতো বা লোয়ার দুর্গটি রেনেসাঁস আমলের ঐশ্বর্যশালী স্থাপত্যের নির্দশন এবং আনন্দ ও বিনোদনের ভাবনা মাথা রেখেই এর নকশাটি করা হয়েছিল। দুর্গটি প্যারিসের বাইরে আদালত জীবনের সস্প্রসারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। শ্যাতো দে শামবর রাজা প্রথম ফ্রান্সিসের জন্য নির্মিত হয়েছিল এবং এটিই সবচেয়ে চমৎকার ও দৃষ্টিনন্দন। শ্যাতো দো শেওলোনশো রয়েছে স্বতন্ত্র মেয়েলি শৈলী আর শোভ্যারনি যেন শান্ত ও মনোরম পরিবেশে জমিদারের কমনীয় কোন খামার বাড়ি।

লাসকো-র প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্র

ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমের লাসকোতে দর্শনার্থীরা প্রাগৈতিহাসিক শিল্পের আকর্ষণপূর্ণ জগতে হারিয়ে যেতে পারেন। এখানে মিলেছে বিশ্বের প্রতœপ্রস্তরযুগীয় শিল্পের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত এই স্থাপনাটি আকিতেন অঞ্চলের ভেজ্যার উপত্যকায়। ১৯৪০ সালে আবিষ্কৃত লাসকো গুহায় রয়েছে সূক্ষ্ম প্রাগৈতিহাসিক দেয়ালচিত্র। কিন্তু ছবিগুলোর নষ্ট হওয়া ঠেকাতে গুহাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে দর্শকদের চাহিদা মেটাতে আসল গুহার ২০০ মিটার দূরে মডেল গুহা তৈরি করা হয়েছিল; এবার প্রায় ৮০০ মিটার দূরে খোলা হয়েছে তৃতীয় লাসকো গুহা। লাস্কোর মডেল গুহায় পুরাতন প্রস্তরযুগের খাঁটি গৈরিক বর্ণের পশুর চিত্রকলার প্রতিটি বিস্তারিতসহ সতর্কতার সঙ্গে পুনরুৎপাদন করা হয়েছে। শত শত আঁকা ও খোদাই করা জীবজন্তুর ছবি পাওয়া গেছে লাস্কোয়। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ জীবজন্তুকে ইতোমধ্যেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে; যেমন ষাঁড়, ঘোড়া, হরিণ এবং ভালুক। লাসকোর গুহামানবদের আঁকা দেয়ালচিত্রের হুবহু নকল করে দ্বিতীয় মডেল গুহা বা নতুন আন্তর্জাতিক কেন্দ্রটিতে রাখা হয়েছে। ইস্পাতের ওপর অ্যাক্রিলিক রেজিন লেপে তৈরি নকল পাথরের দেয়ালে আসল লাসকো গুহার দেয়ালচিত্রগুলো নিখুঁতভাবে আঁকা হয়েছে। তাই দর্শনার্থীরা এগুলোর সঙ্গে মূল গুহাচিত্রের কোন পার্থক্য করতে পারবেন না। লাসকো দুই নামের প্রথম মডেলটিও ইতোমধ্যেই সারাতে হয়েছে। নতুন মডেলটি শুধু লাসকো গুহার কপি বা অনুরূপ নয়। এখানে লাসকোর ইতিহাসও ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রদর্শন করা হয়; যেমন কিভাবে চার কিশোর লাসকো গুহাটি আবিষ্কার করে। ৭৭ বছর পরও লাসকোর সব রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয়নি। সেই লাসকো গুহা আজ আধুনিক শিল্পকলারও প্রেরণা।

অদিতি আহমেদ

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!